🎯 ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায় 🚀
আপনার ওয়েবসাইটকে অ্যাপ্রুভ করানোর A to Z গাইড
১. ভূমিকা: ডিজিটাল সাফল্যের প্রথম ধাপ
অনলাইনে রোজগার করার কথা ভাবছেন? তাহলে আপনার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো Google Ads Approval বা গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়া। ২০২৫ সাল এসে গেলেও এই অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার প্রক্রিয়াটা অনেকের কাছেই একটা চ্যালেঞ্জের মতো মনে হয়। অনেকেই মাসের পর মাস চেষ্টা করেন, কিন্তু ‘Low Value Content’, ‘Site Navigation’, বা ‘Scraped Content’ এর মতো কারণে বারবার রিজেক্ট হন। মন খারাপ হওয়ারই কথা, কিন্তু চিন্তা করবেন না!
আমরা সবাই জানি, গুগল প্রতিনিয়ত তাদের বিজ্ঞাপন নীতি এবং কনটেন্ট কোয়ালিটি নির্দেশিকা আপডেট করছে। বিশেষ করে, তারা EEAT (Expertise, Experience, Authoritativeness, Trustworthiness) কে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মানে হলো, এখন আর শুধু কিছু টেক্সট লিখে দিলেই হবে না; আপনার ওয়েবসাইটে এমন কিছু থাকতে হবে যা পাঠকের জন্য সত্যি সত্যিই উপকারী এবং আপনার দেওয়া তথ্যের ওপর তারা আস্থা রাখতে পারে। এই কারণেই ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায় খোঁজাটা খুব জরুরি। এটি কেবল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল নয়, বরং আপনার ওয়েবসাইটের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের ভিত্তি তৈরি করে।
এই ব্লগে আমরা সেই সব বিশেষ কৌশল এবং গোপন টিপস নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে পুরোনো দিনের সমস্যাগুলো এড়িয়ে খুব সহজেই অ্যাপ্রুভাল পেতে সাহায্য করবে। আমরা ধাপে ধাপে দেখব কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে এমনভাবে তৈরি করা যায় যেন গুগল রিভিউয়াররা প্রথম দেখাতেই বুঝে যান যে আপনার সাইটটি প্রফেশনাল, নির্ভরযোগ্য এবং বিজ্ঞাপন দেখানোর যোগ্য। আমরা শুধু কনটেন্ট নিয়ে কথা বলব না, বরং সাইটের টেকনিক্যাল দিক, ইউজার ইন্টারফেস এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিগ্যাল পেজ তৈরির বিষয়গুলোও বিশদভাবে জানব।
মনে রাখবেন, গুগল অ্যাডসেন্স কোনো দ্রুত বড়লোক হওয়ার স্কিম নয়। এটি একটি ব্যবসায়িক মডেল। গুগল তাদের বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে একটি নিরাপদ ও কার্যকর প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করতে চায়। তাই, যখন আপনি তাদের নীতি মেনে চলেন এবং সত্যিকারের উচ্চ-মানের কনটেন্ট তৈরি করেন, তখন অ্যাপ্রুভাল পাওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সেই ভুলগুলো চিহ্নিত করা যা বেশিরভাগ নতুন ব্লগার করে থাকেন এবং সেগুলোর সমাধান করা। এই আর্টিকেলের প্রতিটি ধাপ আপনাকে একটি SEO ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লিখতে সাহায্য করবে, যা গুগলের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী তৈরি। সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক এই ডিজিটাল জার্নি। এই গাইডলাইন মেনে চললে ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায় আপনার কাছে আর কঠিন মনে হবে না। আপনার ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক এবং আয় বাড়ানোর জন্য এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো একটি পরিষ্কার এবং কার্যকরী ওয়েবসাইট ডিজাইন তৈরি করা। ২০২৫ সালে গুগল শুধুমাত্র কনটেন্টের দিকেই নয়, আপনার সাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) এবং Core Web Vitals-এর দিকেও বিশেষ নজর দেয়।
প্রথমে নিশ্চিত করুন আপনার সাইটটি সম্পূর্ণ রেসপন্সিভ। অর্থাৎ, এটি মোবাইল, ট্যাবলেট বা ডেস্কটপ—সব ডিভাইসেই যেন সমানভাবে ভালো দেখায় এবং ব্যবহার করা যায়। গুগলের অধিকাংশ ট্র্যাফিক এখন মোবাইল থেকে আসে, তাই আপনার সাইটের মোবাইল-ফ্রেন্ডলিনেস একটি বাধ্যতামূলক শর্ত। সাইটের লেআউট এমনভাবে সাজান যেন ভিজিটররা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পায়। একটি সুস্পষ্ট মেনু বার, সহজেই বোঝা যায় এমন ক্যাটাগরি এবং একটি শক্তিশালী সার্চ অপশন থাকা জরুরি।
এরপর আসে সাইটের স্পিড। ধীরগতির ওয়েবসাইটগুলো ইউজারদের বিরক্ত করে এবং গুগল অ্যাডস রিভিউয়ারদের কাছে খারাপ বার্তা পাঠায়। ইমেজ অপটিমাইজেশন করুন, অপ্রয়োজনীয় প্লাগইন বা উইজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং ভালো মানের হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করুন। এই বিষয়গুলো আপনার সাইটের ট্রাস্ট ফ্যাক্টর বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়া, নেভিগেশন সহজ হওয়া খুবই দরকার। আপনার সাইটে কমপক্ষে ৪-৫টি পরিষ্কার ক্যাটাগরি তৈরি করুন এবং প্রতিটি পোস্টকে সঠিকভাবে ক্যাটাগরিভুক্ত করুন। ভিজিটররা যাতে হোমপেজ, ক্যাটাগরি পেজ এবং একক পোস্ট পেজের মধ্যে সহজে চলাচল করতে পারে, তার দিকে লক্ষ্য রাখুন। অগোছালো ডিজাইন বা ভাঙা লিংক অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পথে বড় বাধা হতে পারে। আপনার থিমটি যেন ক্লিন এবং ফাস্ট-লোডিং হয়, সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিন। একটি মানসম্মত থিম আপনার পেশাদারিত্ব ফুটিয়ে তোলে।
বিশ্বাসযোগ্যতা (Trustworthiness) ছাড়া ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এই বিশ্বস্ততা প্রমাণের মূল চাবিকাঠি হলো আপনার লিগ্যাল পেজগুলো। গুগল দেখতে চায় যে আপনি আপনার ভিজিটরদের তথ্য সুরক্ষা এবং ব্যবসার নীতি সম্পর্কে স্বচ্ছ।
কমপক্ষে চারটি পেজ আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই থাকতে হবে:
- Privacy Policy (গোপনীয়তা নীতি): এই পেজটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন আপনি কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছেন (যেমন: কুকিজ, ইমেইল), কেন সংগ্রহ করছেন এবং কীভাবে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। বিশেষ করে, আপনি যখন Google Ads-এর জন্য আবেদন করছেন, তখন উল্লেখ করতে হবে যে গুগল থার্ড-পার্টি ভেন্ডর হিসেবে কুকিজ ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দেখাবে।
- Terms and Conditions (শর্তাবলী): এই পেজে আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারের নিয়মাবলী, কনটেন্টের কপিরাইট এবং ব্যবহারকারীদের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে লেখা থাকতে হবে।
- About Us (আমাদের সম্পর্কে): এই পেজটি আপনার EEAT (Expertise, Authoritativeness) বাড়াতে সাহায্য করে। এখানে আপনার বা আপনার দলের পরিচিতি দিন, আপনার লেখার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা তুলে ধরুন। গুগল দেখতে চায়, এই কনটেন্ট কে লিখছে।
- Contact Us (যোগাযোগ): এই পেজে একটি কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যম (যেমন: একটি অফিশিয়াল ইমেইল অ্যাড্রেস এবং/অথবা কন্টাক্ট ফর্ম) দিন। এটি গুগল রিভিউয়ারদের কাছে প্রমাণ করে যে সাইটটির পেছনে একজন বাস্তব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই পেজগুলো অবশ্যই আপনার সাইটের ফুটার বা হেডার মেনুতে সহজে দৃশ্যমান হতে হবে। মনে রাখবেন, শুধু একটি টেমপ্লেট কপি-পেস্ট করলেই হবে না। আপনার ওয়েবসাইটের কার্যকলাপ অনুযায়ী বিষয়বস্তু যথাযথভাবে কাস্টমাইজ করা বাধ্যতামূলক। গুগল কনটেন্ট পলিসি মেনে চলার জন্য এই ধাপটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
Low Value Content হলো অ্যাপ্রুভাল না পাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। ২০২৫ সালের গুগলের নিয়ম অনুযায়ী, আপনার কনটেন্ট হতে হবে সম্পূর্ণ ইউনিক, তথ্যবহুল এবং পাঠকের জন্য মূল্য সংযোজনকারী। কপিরাইট-ফ্রি এবং অর্গানিক কনটেন্ট ছাড়া অ্যাপ্রুভাল পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
কীভাবে বুঝবেন আপনার কনটেন্ট গুগলের মানদণ্ড পূরণ করছে?
- গভীরতা: কোনো বিষয় নিয়ে লেখার সময় শুধু ওপরের তথ্য না দিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন। যেমন, যদি আপনি "ফ্রি ডোমেইন কি" নিয়ে লেখেন, তবে তার সুবিধা, ঝুঁকি, কীভাবে পাওয়া যায়, কোন সাইটগুলো ভালো—সবকিছু বিস্তারিতভাবে লিখুন। প্রতিটি পোস্টে কমপক্ষে ১০০০+ শব্দ রাখার চেষ্টা করুন।
- মানবিক স্পর্শ: গুগল এখন এমন লেখা পছন্দ করে যা মনে হয় একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে তার অভিজ্ঞতা থেকে বলছে। সহজ, পাঠযোগ্য এবং মানুষের মতো লেখার ভঙ্গি ব্যবহার করুন। অপ্রয়োজনীয় শব্দ বা AI-ধাঁচের বাক্য পরিহার করুন। বাক্যগুলো ছোট ছোট করে সাজান।
- কিওয়ার্ড ব্যবহার: আপনার প্রধান কিওয়ার্ড, যেমন "২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায়", তা যেন স্বাভাবিকভাবে ভূমিকা এবং মূল অংশে আসে। তবে কীওয়ার্ড স্টাফিং (অতিরিক্ত ব্যবহার) করবেন না।
- উপযুক্ত ইমোজি ও বোল্ড টেক্সট: গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বোল্ড করুন এবং উপযুক্ত স্থানে 💡, ✅, 📌 এর মতো ইমোজি ব্যবহার করুন, যা পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০টি উচ্চ-মানের আর্টিকেল আপনার সাইটে পাবলিশ করা উচিত, অ্যাপ্রুভালের জন্য আবেদন করার আগে। প্রত্যেকটি আর্টিকেল যেন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার বিশেষজ্ঞতা প্রমাণ করে। অন্যান্য কিওয়ার্ড যেমন: SEO টুলস, ট্র্যাফিক বাড়ানোর কৌশল—এগুলো প্রাসঙ্গিকভাবে যুক্ত করুন।
আপনার ডোমেইন এবং হোস্টিং কীভাবে ব্যবহার করছেন, সেটা Google Ads Approval-এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হলো:
ডোমেইন নির্বাচন ও ব্যবহার:
- ফ্রি ডোমেইন: ফ্রি ডোমেইন বা সাব-ডোমেইন (যেমন: `yoursite.blogspot.com` বা `yoursite.wordpress.com`) দিয়ে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া অসম্ভব না হলেও, খুব কঠিন। গুগল সবসময় টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) যেমন `.com`, `.net`, `.org` বা আপনার দেশের নিজস্ব TLDs (.in, .bd) কে বেশি প্রাধান্য দেয়। ফ্রি ডোমেইনকে গুগল Low Value হিসেবে গণ্য করতে পারে।
- ডোমেইনের বয়স: যদিও ডোমেইনের বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই, তবে অ্যাপ্রুভালের জন্য আবেদন করার আগে কমপক্ষে ১-২ মাস পুরোনো ডোমেইন ব্যবহার করা ভালো।
হোস্টিং ও সার্ভার:
আপনার হোস্টিং যেন দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হয়। বারবার সাইট ডাউন হওয়া বা দীর্ঘ লোডিং সময় অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে। আপনি যদি ব্লগার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, তবে নিশ্চিত করুন আপনার কাস্টম ডোমেইনটি সঠিকভাবে সেটআপ করা হয়েছে এবং সাইটের SSL সার্টিফিকেট সক্রিয় আছে। SSL সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো ওয়েবসাইটেই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল দেয় না।
ফ্রি ডোমেইন বা হোস্টিং ব্যবহার করার ঝুঁকি হলো—আপনি কন্ট্রোল ও কাস্টমাইজেশন থেকে বঞ্চিত হন, যা একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইটের জন্য অপরিহার্য। তাই ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায় নিশ্চিত করতে হলে, একটি মানসম্মত কাস্টম ডোমেইন ও হোস্টিং-এ বিনিয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
অনেক ব্লগারই তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট লিংক বা অন্যান্য অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্যবহার করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু গুগল চায় আপনি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনার সাইটে কোনো অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে, তবে তা পরিষ্কারভাবে ভিজিটরদের জানানো উচিত।
করণীয়:
- ডিসক্লোজার: প্রতিটি পোস্টে, যেখানে অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে শুরুতে বা শেষে একটি ছোট ডিসক্লোজার বা ঘোষণা দিন। যেমন: “এই পোস্টে কিছু অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকতে পারে। আপনি যদি এই লিংকগুলো ব্যবহার করে কোনো পণ্য কেনেন, তবে আমি কিছু কমিশন পেতে পারি।”
- অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন পরিহার: অ্যাপ্রুভালের জন্য আবেদন করার আগে আপনার সাইটে অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের কোড বা অতিরিক্ত পপ-আপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। গুগল দেখতে চায়, তাদের বিজ্ঞাপন বসানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিষ্কার জায়গা আপনার সাইটে আছে।
- `nofollow` ট্যাগ: সমস্ত অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলোতে `rel="nofollow"` বা `rel="sponsored"` ট্যাগ ব্যবহার করুন। এটি গুগলের কাছে স্পষ্ট করে যে এই লিংকগুলো বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, কোনো SEO র্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য নয়।
গুগল অ্যাডস অ্যাপ্রুভাল পেতে গেলে তাদের Monetization Policy পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। এমন কোনো পণ্যের প্রচার করবেন না যা তাদের নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় আছে (যেমন: তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র বা প্রতারণামূলক পরিষেবা)। স্বচ্ছতা বজায় রাখলে অ্যাপ্রুভাল প্রক্রিয়াটি অনেক দ্রুত এবং সহজ হয়ে যায়।
ওয়েবসাইট তৈরি এবং কনটেন্ট প্রস্তুত হওয়ার পর আসে Google Adsense অ্যাকাউন্ট সেটআপ করার পালা। এই ধাপে ছোট একটি ভুলও আপনার পুরো প্রক্রিয়াটিকে আটকে দিতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
- ব্যক্তিগত তথ্য: অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করার সময় আপনার নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর আপনার ন্যাশনাল আইডি বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে যেন ১০০% মিলে যায়। সামান্য বানান ভুলও ভবিষ্যতে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনের সময় বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- একই নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট নয়: একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যদি আপনার পুরোনো কোনো অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে সেটি বন্ধ না করে নতুন অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করলে নিশ্চিতভাবে তা বাতিল হবে।
- সাইট URL: অ্যাডসেন্স কোড বসানোর আগে নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক URL দিয়ে আবেদন করছেন (যেমন: https://amarbangla.top)। যদি আপনি `www` ছাড়া আবেদন করেন, তবে কোড বসানোর সময়ও একই URL ব্যবহার করুন।
সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, আপনার ওয়েবসাইটের সব কাজ শেষ করে, কমপক্ষে ২০টি গুণগত মান সম্পন্ন পোস্ট পাবলিশ করে তারপর আবেদন করুন। তাড়াহুড়ো করবেন না। একবার আবেদন করার পর, গুগলকে সময় দিন। সাধারণত ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদি একবার রিজেক্ট হন, তবে কারণগুলো ভালোভাবে পড়ুন, সাইট ঠিক করুন এবং তারপরেই পুনরায় আবেদন করুন। ধৈর্য ধরলে ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায় আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
📖 আরো পড়ুন (আপনার জন্য বিশেষ পরামর্শ)
৭. উপসংহার: অ্যাপ্রুভাল এখন হাতের মুঠোয়!
আমরা এই পুরো ব্লগ পোস্ট জুড়ে ২০২৫ সালে Google Ads Approval পাওয়ার সহজ উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। সংক্ষেপে বলা যায়, এই অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কোনো শর্টকাট নেই, তবে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আছে যা আপনার সাফল্যকে নিশ্চিত করতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটির মূল ভিত্তি হলো গুণগত মান (Quality), বিশ্বাসযোগ্যতা (Trust) এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience)।
প্রথমত, ওয়েবসাইটের ডিজাইন এমন হওয়া চাই যা সব ধরনের ডিভাইসে দ্রুত লোড হয় এবং নেভিগেট করতে সুবিধা হয়। দ্বিতীয়ত, লিগ্যাল পেজ যেমন Privacy Policy, Terms and Conditions, About Us এবং Contact Us পেজগুলো অবশ্যই সম্পূর্ণ এবং সঠিক তথ্য দিয়ে তৈরি করতে হবে। এগুলি আপনার সাইটের ট্রাস্ট ফ্যাক্টরকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তৃতীয়ত, কনটেন্ট হতে হবে ১০০% ইউনিক, কপিরাইট-ফ্রি এবং আপনার দক্ষতার প্রমাণ বহন করবে। ২০২৫ সালে গুগল EEAT-কে যে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মানে হলো আপনি যা লিখছেন তা আপনার নিজের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
আমরা দেখলাম যে, ফ্রি ডোমেইন বা নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহারের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই একটি কাস্টম ডোমেইন এবং নির্ভরযোগ্য হোস্টিংয়ে বিনিয়োগ করা দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। সবশেষে, অ্যাফিলিয়েট লিংক বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের তথ্যে কোনো ভুল না করাটা অত্যন্ত জরুরি।
মনে রাখবেন, গুগল অ্যাডসেন্স একটি পেশাদার প্ল্যাটফর্ম। আপনি যখন তাদের চাহিদা অনুযায়ী একটি পরিপাটি, তথ্যবহুল এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তখন অ্যাপ্রুভাল নিশ্চিতভাবে আপনার কাছে আসবে। এই গাইডলাইনগুলো মেনে চললে আপনি পুনরায় বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বহুলাংশে কমিয়ে দিতে পারবেন। এখন সময় এসেছে আপনার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি তৈরি করার। আপনার Google Ads Policy সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরি।
পাঠকের জন্য পরামর্শ:
আপনি যদি এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে থাকেন এবং এখনও কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে আপনার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত! শুভকামনা রইলো আপনার ডিজিটাল যাত্রার জন্য।
❓ গুগল অ্যাডস অ্যাপ্রুভাল সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর (Q&A)
১. কতগুলি আর্টিকেল থাকলে Google Ads Approval পাওয়া সহজ?
সাধারণত, কমপক্ষে ২০-৩০টি উচ্চ-মানের এবং তথ্যবহুল আর্টিকেল থাকা ভালো। তবে সংখ্যার চেয়ে কনটেন্টের গুণগত মান ও গভীরতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২. ফ্রি ডোমেইন (যেমন .blogspot.com) দিয়ে কি ২০২৫ সালে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যাবে?
পাওয়া যেতে পারে, তবে খুব কঠিন। গুগল সবসময় কাস্টম টপ-লেভেল ডোমেইন (.com, .net) কে পেশাদারিত্বের কারণে বেশি গুরুত্ব দেয়। অ্যাপ্রুভালের সম্ভাবনা বাড়াতে একটি কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করা আবশ্যক।
৩. Privacy Policy পেজ না থাকলে কি অ্যাপ্রুভাল রিজেক্ট হবে?
হ্যাঁ, অবশ্যই হবে। Privacy Policy, Terms, About Us এবং Contact Us - এই চারটি পেজ অ্যাপ্রুভালের জন্য বাধ্যতামূলক। এই পেজগুলো আপনার সাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা (Trustworthiness) প্রমাণ করে।
৪. আমার সাইটে ভিজিটর (Traffic) না থাকলে কি অ্যাপ্রুভাল পাব?
ভিজিটর না থাকলেও অ্যাপ্রুভাল পেতে পারেন, কারণ গুগল মূলত সাইটের মান, কনটেন্টের গভীরতা এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স রিভিউ করে। তবে কিছু ট্র্যাফিক থাকলে তা গুগলের কাছে আপনার সাইটের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে সাহায্য করে।
৫. Low Value Content বলতে গুগল কী বোঝায়?
যে কনটেন্ট খুব কম তথ্যবহুল, অন্য সাইট থেকে কপি করা, অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বা অ্যাফিলিয়েট লিংকযুক্ত, বা পাঠকের জন্য কোনো নতুন মূল্য যোগ করে না, তাকে গুগল Low Value Content হিসেবে গণ্য করে।
৬. অ্যাপ্রুভাল পেতে কত সময় লাগতে পারে?
সাধারণত ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে কনটেন্টের পরিমাণ ও গুণের ওপর নির্ভর করে কখনও কখনও এর চেয়ে বেশি বা কম সময়ও লাগতে পারে।
৭. যদি একবার অ্যাপ্রুভাল বাতিল হয়, তাহলে কি পুনরায় আবেদন করা যাবে?
হ্যাঁ, অবশ্যই যাবে। বাতিলের কারণগুলো ভালোভাবে পড়ুন, আপনার সাইটে প্রয়োজনীয় সংশোধন করুন এবং তারপর পুনরায় আবেদন করুন।
৮. আমার বয়স ১৮ বছরের কম হলে কি আমি Google Adsense Approval পাব?
না। অ্যাডসেন্স নীতি অনুযায়ী আবেদনকারীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে। তবে আপনি আপনার বাবা-মা বা আইনি অভিভাবকের নামে আবেদন করতে পারেন।
৯. আমার সাইটটি কি বাংলা বাদে অন্য কোনো ভাষায় লেখা হতে পারে?
হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স অনেকগুলো ভাষা সমর্থন করে। তবে আপনার সাইটের কনটেন্ট অবশ্যই সেই ভাষার উচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখবে।
১০. সাইটের Core Web Vitals কি অ্যাপ্রুভালে কোনো ভূমিকা রাখে?
সরাসরি না হলেও, Core Web Vitals ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে প্রভাবিত করে। যেহেতু গুগল এখন UX কে অনেক গুরুত্ব দেয়, তাই ভালো Core Web Vitals স্কোর অ্যাপ্রুভালের প্রক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
